ফরিদপুরের নগরকান্দার চরযশোরদি ইউনিয়নে এক কিশোরীকে হাত-মুখ বেধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ
শনিবার (০৬ জুন) সন্ধ্যায় তাকে বাড়ির পাশের একটি পাটক্ষেতে হাত-মুখ বেধে সংঘবদ্ধভাবে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগী কিশোরী (১৮)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা নগরকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বর্তমানে ওই কিশোরী ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনায় বসে ছিল ওই কিশোরী। বাড়িতে তখন ওই কিশোরী একাই ছিলেন।
হঠাৎ করেই স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান পথিক তালুকদারের আপনভাই পলাশ তালুকদারের শ্যালক দহিসারা গ্রামের ইলিয়াস মোল্লার ছেলে নাফিজ মোল্লা (২০), দেলোয়ার মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা (১৮) ও একই গ্রামের ওয়াদুত মুন্সির নাতি ও পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার বল্লোভদি গ্রামের মন্টু মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা (২০) ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি পাট ক্ষেতে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ
ওই কিশোরীর মা বলেন, সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এমন সময় একজন এসে খবর দেয় আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে সবাইকে খবর দেই। সাথে সাথেই সবাই মিলে মেয়েকে খুঁজতে শুরু করি। প্রায় দেড় ঘন্টা পরে বাড়ির পাশের একটি পাট ক্ষেতে শব্দ শুনতে পাই। সবাই এগিয়ে গেলে ওরা মেয়েকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে রাতেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে নানাভাবে বিরক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো ওরা। আমার মেয়ে ওদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এঘটনা ঘটালো ওরা। ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নগরকান্দা থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ও তার পরিবার রাতে থানায় এসে বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। মেয়েটি এখন ফরিদপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেনো পুলিশ তাদের আইনের আওতায় আনবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কেউ ছাড় পাবে না।