কোলের দুই সন্তানকে কেড়ে রেখে স্ত্রীকে মারধর করে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন পাষন্ড স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ। সন্তানদের দিবে না আর তাকেও বাড়িতে আনবে না স্বামীর এমন কথা শুনে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন মিথিলা (২৩) নামের এক গৃহবধু। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চরপাল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে মিথিলার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত মিথিলা ওই গ্রামের মোতলেব মাতুব্বর এর মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চরপাল্লা গ্রামের বাসিন্দা মোতলেব মাতুব্বর এর মেয়ে মিথিলার সাথে ছয় বছর আগে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার আদিপাড়া কানাইনগর গ্রামের মৃত রব শেখের মালয়েশিয়া প্রবাসি ছেলে শাকিল শেখের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে পাঁচ বছরের ছেলে ও তিন বছরের মেয়ে রয়েছে।
মিথিলার ভাই আউয়াল বলেন, শাকিল গত ঈদুল ফিতরের আগে দেশে আসে। দেশে এসেই মিথিলার উপর বিভিন্ন অযুহাত দিয়ে নির্যাতন করতো। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৯ আগস্ট) সকালে মিথিলাকে তার স্বামী শাকিল, শাশুড়ি ও ননদরা মিলে মারধর করে কোলের দুই সন্তান কেড়ে রেখে বাড়ী থেকে জোর করে বের করে দেয়। মিথিলা বাবার বাড়ি চলে আসে।
তিনি আরো বলেন, বাড়িতে এসে রাতে মিথিলা তার সন্তানের জন্য কান্নাকাটি করে ফের স্বামীকে ফোন করে সন্তানদের তার নিকট দিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু শাকিল পুত্র কন্যাকে দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বলেন তোকেও আনবো না। স্বামীর এমন কথা শুনে রাতে আর ঘুমাতে পারেনি মিথিলা। রাতের কোনো এক সময় বাবার বাড়ীর ঘরের বাইরের সফেদা গাছের সাথে গলায় উরনা পেচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খাঁন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply