ফরিদপুরের ভাঙ্গার আলগি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আপন চাচা–ভাতিজা প্রার্থী হয়েছেন। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও চাচা-ভাতিজাকে নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে।
এই ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. গিয়াসউদ্দিন মিয়া। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। গিয়াসউদ্দিনের বড় ভাই মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে পলাশও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চাচার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ভাঙ্গার অন্য ১১টি ইউপির সঙ্গে আলগি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে চাচা ও ভাতিজা দুজনেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নৌকার প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি বেশি আশাবাদী নই, আবার বেশি নিরাশও নই। কেননা, বেশি আশাবাদী হলে ফলাফল বিপর্যয় হয়। তবে আমি কাজ করে যাচ্ছি। ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মোট চারজন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিল। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে মনোনয়ন না পাওয়া বাকি তিনজন আমার সঙ্গে আছে।’
তবে তাঁর ভাতিজা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাননি বলে জানান তিনি। ভাতিজা নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গিয়াসউদ্দিনের ভাতিজা পলাশ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন। তবে পলাশ ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে। পলাশ মূলত ঢাকায় ব্যবসা করেন।
তবে পলাশ নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মাঠে নেমে আমি অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বিজয় অর্জনে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
Leave a Reply